What to do during tooth eruption?

............
" শিশুদের দাঁত উঠার সময়ে করণীয়"
.............
শিশুদের দাঁত কখন ওঠে? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ৬ মাসের মাঝে শিশুদের প্রথম দাঁত ওঠে। তবে অনেক শিশুদের এ সময়ের আগে (৩ মাস বয়সে) অথবা বেশ দেরীতে (১৪ মাস বয়সে) দাঁত উঠতে পারে।
শিশুদের দাঁত ওঠার পর্যায়গুলো কী কী
খেয়াল করলে দেখবেন, শিশুদের নতুন দাঁত প্রথম যখন উঠে, তখন তা উঠে জোড়ায় জোড়ায় অর্থাৎ এক সাথে দুটি। প্রথমে গজায় নিচের পাটির মাঝের দুটি দাঁত। ১ মাস বা আরো কিছু সময় পর উপরের পাটির মাঝের দুটি দাঁত দেখা যায়। তবে ব্যতিক্রমও আছে। যেমন- চারটা দাঁতই শুধু উপরে বা নিজে গজাতে দেখা যায়।
দাঁতের বিভিন্ন ধরণ আছে। যেমন- ইনসিসর, মোলার ইত্যাদি। ধরণ ভেদে দাঁত বিভিন্ন সময়ে গজায়। যেমন-
🔹 দাঁত ওঠার সময়:
·৬ মাসঃ নিচের পাটির মাঝের ইনসিসর দাঁত
·৮ মাসঃ উপরের পাটির মাঝের ইনসিসর দাঁত
·১০ মাসঃ নিচের ও উপরের পাটির লেটেরাল ইনসিসর দাঁত
·১৪ মাসঃ প্রথম মোলার দাঁত
·১৮ মাসঃ ক্যানাইন দাঁত
·২৪ মাসঃ সেকেন্ড মোলার দাঁত
এবার আসুন জেনে নিই দাঁত উঠার লক্ষণ গুলো কি কি-
১) শিশুরা যেকোন কিছু কামড়াতে চেষ্টা করে :
এসময় শিশুদের মাড়ির নিচে নতুন দাঁত চাপ দিতে থাকে বা বেড়ে উঠতে থাকে। এই চাপ প্রশমিত বা কমানোর জন্য শিশুরা হাতের কাছে যা পায় সেগুলো কামড়ানোর চেষ্টা করে।
২) দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া :
নতুন দাঁত উঠার আগে শিশুর মাড়িতে লাল ও ফোলা ফোলা ভাব দেখা যেতে পারে। কখনো কখনো মাড়ির নিচে নতুন দাঁতের অগ্রভাগ দেখা যায়, যার চারপাশের ফোলা ফোলা থাকে।
৩) রাতে শিশুর অস্থিরতা বেড়ে যায় :
সাধারণত রাতের বেলা শিশুদের দাঁতের বৃদ্ধি দ্রুত হয়। এসময় চোয়ালের হাড় ও মাঢ়ি ভেদ করে দাঁতের বৃদ্ধি হতে থাকে, ফলে ব্যথার কারণে এসময় শিশু বেশ বিরক্ত করতে পারে।
৪) কান ধরে টানা :
শুরুতেই বলে রাখি, শিশু যদি কান ধরে টানতে থাকে তবে তা হতে পারে কানের সংক্রমণের জন্য অথবা দাঁতের ব্যথার জন্য। দাঁত উঠলে শিশুর মুখের চোয়ালে ব্যথা হয়, যা কান পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে। এ যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে শিশু নিজের কান টানতে পারে।
৫) খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন :
এসময় অনেক শিশুর খাদ্যভ্যাসেও পরিবর্তন দেখা যায়। যেসব শিশু "সলিড" খাবার খেত, দেখা যায় তারা দুধ বা তরল খাবার খেতে চাচ্ছে। কারণ খাবার খেতে গেলে দাঁতের ব্যথা অনুভব করে তারা। আবার অনেক শিশুদের ক্ষেত্রে উল্টোটা হয়। তারা দেখা যায় তরল খাবার ছেড়ে শক্ত খাবারে আকৃষ্ট হয়। কারণ এ খাবারগুলো কামড়ে খেতে হয়, ফলে নতুন দাঁত ওঠার ফলে শিশুর দাঁতে যে ব্যথা অনুভূত হয়, সেটা থেকে কিছুটা উপশম মেলে।
৬) খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায় :
দাঁত ওঠার প্রক্রিয়াটি ভীষণই যন্ত্রণাদায়ক,যা হয়ত শিশুকে বিপর্যস্ত করে তোলার কারণ হয়ে উঠতে পারে।তারা সেই সময় যা ভাবতে পারে তা হল যেকোনও ভাবেই সেই যন্ত্রণার উপশম করা।যার পরিণতিতে শিশু একেবারেই কোনও কিছু খেতে বা পান করতে অস্বীকার করে।
৭) মুখ থেকে লালা ঝরা বেড়ে যায়
৮) মুখে র্যাশ বা ফুসকুড়ি :
অত্যধিক মাত্রায় অনবরত লালা ঝরার আরেকটি ফল হল মুখের চারপাশের অঞ্চলটি সমানে ভিজে থাকা।এর ফলে ঐ অঞ্চলে শিশুর সূক্ষ্ম কোমল ত্বকে জ্বলন হতে শুরু করে এবং পরিণামে র্যাশ বা ফুসকুড়িগুলি দেখা দেয়।
৯) চোষণ প্রবণতার বৃদ্ধি :
আপনার ছোট্টটি তার মাড়িতে অনুভূত হওয়া অদ্ভুত ধরণের অত্যধিক চাপ লাঘব করার জন্য তার অবগত সবরকম চেষ্টাই প্রয়োগ করতে চাইবে।কামড়ানোর সাথে সাথে আবার অনেক শিশুরই প্রবণতা থাকে তাদের হাতের নাগালে যা কিছুই পায় সেগুলি নিয়ে চোষার।
পরামর্শ :
·দাঁত ওঠার আগে ও পরে শিশুর মধ্যে সব কিছু কামড়ে দেখার প্রবণতা দেখা দেয়। এই সময়ে ওকে একটু সাবধানে রাখা দরকার যাতে ও যা খুশি তাই মুখে না দিতে পারে। ওর জন্য নন টক্সিক মেটেরিয়ালের তৈরি টিদার কিনতে পারেন। অনেক টিদারের ভিতরে লিকুইড ভরা থাকে, এগুলো কিছু সময় ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা হলে শিশুকে দিন।
সেক্ষেত্রে মাড়িতে আরাম পাবে।
· লালা থেকে মুখের চারপাশে যেনো রেশ নাহয়, সেজন্য লালা নিঃস্বরণ হলেই মুখের চারপাশ পরিষ্কার করতে হবে।
তাই শিশুর দাঁত ওঠার সময় হলে লক্ষণগুলো জানা থাকা খুব জরুরী।
সেক্ষেত্রে আমরা শিশুর সঠিক উপায় খেয়াল রাখতে পারবো।
ডা.তাসনীম ইসলাম
বি.ডি.এস (ঢাবি)
মেডিকেল অফিসার
(মেন্ডি ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল)
জুনিয়র কনসালটেন্ট
কাইনেটিক ডেন্টাল, ঢাকা।
……………Kinetic Dental……………
House no: 16
Road: 3
Sujatnagar,Pallabi,Dhaka
For appointment contact:
01313175779
01868349178
#teething
#child_management
#toothache
#child_care
#children_dental_care
#dentists
#dentalclinic
#dentistnearme
#endodontics
#periodontist
#pediatricdentist
#toothextraction
#fbreelsfypシ゚viralfbreelsfypシ゚viral #highlightseveryonefollowers